November 22, 2024, 10:51 am
দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক/
করোনা ভাইরাসের কারণে ফ্রান্সে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) থেকে পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে এই লকডাউন অবস্থা কার্যকর থাকবে। অন্যদিকে জার্মানে আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সীমিত আকারের নতুন এই লকডাউন।
এদিকে ইংল্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মহামারির গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং প্রতি ৯ দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।
বুধবার রাতে ফরাসী রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রোঁ ঘোষণা দেন মানুষ এসময়ে কেবল প্রয়োজনীয় কাজ বা চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারবে, তাছাড়া নয়।
তিনি জানিয়েছেন, রেস্তোঁরা এবং বারের মতো অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবসা এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল এবং কারখানাগুলো উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া মার্চ মাসের প্রাথমিক লকডাউনে যেমন প্রয়োজন ছিল তেমনি লোকদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে বাইরে যেতে হবে।
এপ্রিলের পর থেকে ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দেশটির ৩৩ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসার যে ঝুঁকি রয়েছে, সেটি যে প্রথমবারের তুলনায় অনেক বেশি বিপদজনক বা শক্ত হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জানিয়েছেন, জার্মানিতে নভেম্বরে লকডাউন হবে। তবে এই লকডাউনে স্কুল ও দোকান উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ দুটি পরিবার বা সর্বোচ্চ ১০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বার, ক্যাটারিং এবং অবসর সুবিধা বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে দেশটির পর্যটন খাতও।
পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে লকডাউনের বিষয়ে দেশটির সরকার পুনরায় ১১ নভেম্বর পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর এটিকে একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা আখ্যা দিয়ে দেশটির চ্যান্সেলর সবাইকে এখনই কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
লন্ডনে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, প্রতি ৭৮ জনের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ইয়োর্কশায়ার এবং হাম্বার। সেখানে প্রতি ৩৭ জনের মধ্যে একজন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে প্রতিটি এলাকায় সব বয়সের মধ্যেই সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।
Leave a Reply